ভেষজ চিকিৎসাই আগামীর চিকিৎসা
- …হাকীম সাইয়েদ মোঃ আকবর হোসাইন (স্বপন)
পৃথিবী দ্রুত তার পরিনতীর দিকে ধাবিত হয়ে চলেছে। এ্যালোপ্যাথিক ঔষুধের
বিষ-ক্রিয়ায় বিচিত্র এই দুনিয়া পুনরায় তার মূল চিকিৎসায় ফিরে আসার ব্যাপক
তোড়-জোড়, তর্জন-গর্জন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হু” আগামী ২০৩৫ সালের পর থেকে এ্যালোপ্যাথিক
শিল্পকে অর্থায়ন বন্ধকরে ভেষজ চিকিৎসাকেই মূল চিকিৎসা হিসাবে গ্রহন করার
চুড়ান্ত স্বিদ্বান্ত নিয়েছে। বিশ্বের সকল পরাশক্তিগুলো আজ ভেষজ চিকিৎসায়
ঝুঁকে পড়ছে।
মহান রাব্বুল আলামিন জলীয় ও মাটিজ উদ্ভিধ থেকেই মানবের সুস্থ্যতা চলমান
করে রেখেছেন। প্রতিটি মানুষই প্রাকৃতিক উপাদানের ভেষজ দ্রব্যের মাধ্যমে
নিজের শরীরকে বৃদ্ধি করে আসছে। মানুষ ক্যামিকেল খেয়ে বড় হয়নি।
যখনি আমাদের শরীর রোগাক্রান্ত হয়, সে সময় এ্যালোপ্যাথিক সিনথেটিক
ক্যামিকেল ঔষুধ সুস্থ্যতার পাশাপাশি মারাত্বক প্রতিক্রিয়াও করে থাকে। কিন্ত
এ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার-রা রোগির সুস্থ্যতার কারণে সেটি গোপন রাখতে বাধ্য
হন। অনেক সময় এ্যলোপ্যাথিক ঔষুধ সুস্থ্যতার ছেয়ে ক্ষতিই করে বেশি। সাধারন
জনতা এই ক্ষতির বিষয়ে তেমন সচেতন নয়।
অপরদিকে ভেষজ চিকিৎসায় প্রতিক্রিয়ার মাত্রা খুবই কম। এটি শরীরে সহজে
শোষিত হয়, কিন্ত ক্যামিকেল ঔষুধের পক্ষে তা খুবই জটিল ও প্রতিক্রিয়াশীল।
আজকে এটা প্রমানিত, অনেক কঠিনরোগের কারন এ্যলোপ্যাথিক সিনথেটিক ঔষুধ। একজন
(এমবিবিএস) ডাক্তার রুগির জন্য সঠিক ঔষুধ লিখার পরেও শুধুমাত্র ডোজের
মাত্রার ভূলের কারনে রোগির মারাত্বক সমস্যা হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে ভেষজ
ঔষুধে এর ক্ষতিকর মাত্রাটা কম।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ভেষজ ঔষুধ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এদের গুনগত মান
এ্যালোপ্যাথিক হতে কোন অংশে কম নয়। ক্ষেত্র বিশেষে অনেক ঔষুধ এ্যালোপ্যাথিক
হতে দ্রুত কাজ করে থাকে।
জীবনকে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখার জন্য ভেষজ চিকিৎসাই হোক আজ অন্যতম নির্ভরতার মাধ্যম।
Comments
Post a Comment